০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষক সমিতির ৪ জনের পদত্যাগ

  • তারিখ : ১০:২৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • / 961

জাবি প্রতিনিধি :
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

তারা হলেন- সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘হামলায় ছাত্র-শিক্ষক উভয়ই আহত, লাঞ্ছিত ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। বিষয়টাকে শুধু দুঃখজনকই বলতে পারলাম এর বেশি কিছু করতে পারলাম না।’

‘একটা নিন্দা প্রস্তাব পর্যন্ত নিতে পারি না। বিচার চাইতে পারি না। তাহলে শিক্ষক সমিতিতে কি আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলাম? অনেক দিন থেকেই আমরা পদত্যাগের কথা ভাবছি’ যোগ করেন তিনি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ে সমিতিতে কাজ করতে গিয়ে আমরা বিব্রত হয়েছি। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ, আরেকদিকে শিক্ষকদের স্বার্থ। কোনো বিষয়েই আমরা বোধহয় সেরকম ভূমিকা রাখতে পারলাম না। তাই শিক্ষক সমিতিতে পদ আগলে রাখার কোনো মানে হয় না।’

আজ রাতেই শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমারের কাছে পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাবি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগসহ উপাচার্যপন্থীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এ হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষক, ছাত্রী এবং দায়িত্বরত তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীসহ ৭-৮ জন বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এরপর জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।

তবে হল ছাড়তে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ফের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন।

দেশ রূপান্তর

শেয়ার করুন

হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষক সমিতির ৪ জনের পদত্যাগ

তারিখ : ১০:২৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

জাবি প্রতিনিধি :
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

তারা হলেন- সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘হামলায় ছাত্র-শিক্ষক উভয়ই আহত, লাঞ্ছিত ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। বিষয়টাকে শুধু দুঃখজনকই বলতে পারলাম এর বেশি কিছু করতে পারলাম না।’

‘একটা নিন্দা প্রস্তাব পর্যন্ত নিতে পারি না। বিচার চাইতে পারি না। তাহলে শিক্ষক সমিতিতে কি আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলাম? অনেক দিন থেকেই আমরা পদত্যাগের কথা ভাবছি’ যোগ করেন তিনি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ে সমিতিতে কাজ করতে গিয়ে আমরা বিব্রত হয়েছি। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ, আরেকদিকে শিক্ষকদের স্বার্থ। কোনো বিষয়েই আমরা বোধহয় সেরকম ভূমিকা রাখতে পারলাম না। তাই শিক্ষক সমিতিতে পদ আগলে রাখার কোনো মানে হয় না।’

আজ রাতেই শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমারের কাছে পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাবি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগসহ উপাচার্যপন্থীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এ হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষক, ছাত্রী এবং দায়িত্বরত তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীসহ ৭-৮ জন বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এরপর জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।

তবে হল ছাড়তে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ফের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন।

দেশ রূপান্তর